স্বাভাবিক সংখ্যা ও ভগ্নাংশ (প্রথম অধ্যায়)

ষষ্ঠ শ্রেণি (মাধ্যমিক) - গণিত | NCTB BOOK
2.5k
Summary

প্রাচীন মানুষ সংখ্যার ধারণা বিভিন্ন বস্তু গণনার মাধ্যমে পেয়েছিল। কম সংখ্যক বস্তু গুনতে গিয়ে সভ্যতার বিকাশে বেশি সংখ্যা হিসাবের প্রয়োজন তৈরি হয়। তাই মানুষ গণনার জন্য প্রতীক ও পদ্ধতির সৃষ্টি করে, যেগুলোকে স্বাভাবিক সংখ্যা (Natural Number) বলা হয়, যেমন: ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮,...

অধ্যায়ের শেষে শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলো শিখবে:

  • অঙ্কপাতনের মাধ্যমে স্বাভাবিক সংখ্যা গঠন করা
  • দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রীতিতে সংখ্যাগুলি পড়া ও লেখা
  • মৌলিক সংখ্যা, যৌগিক সংখ্যা ও সহ-মৌলিক সংখ্যা চিহ্নিত করা
  • বিভাজ্যতা ব্যাখ্যা করা
  • ২, ৩, ৪, ৫, ৯ দ্বারা বিভাজ্যতা যাচাই করা
  • স্বাভাবিক সংখ্যা, ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশের গ.সা.গু ও ল.সা.গু নির্ণয় করা
  • ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশের সরলীকরণ করে গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা

প্রাচীন মানুষ বিভিন্ন বস্তু বা জিনিস গণনা করতে গিয়ে প্রথম সংখ্যার ধারণা পেয়েছিল। প্রথমদিকে কম সংখ্যক বস্তু গুনতে হতো। কিন্তু সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে বেশি সংখ্যক জিনিস হিসাবের প্রয়োজন দেখা দেয়। সেখান থেকেই নানারকম প্রতীক ও পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষ গণনার আরো সহজ ও কার্যকর উপায় খুঁজে বের করে। যেহেতু এই সংখ্যাগুলো গণনার প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছিল তাই এদেরকে গণনাকারী বা স্বাভাবিক সংখ্যা (Natural Number) বলা হয়। যেমন: ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ... ইত্যাদি।

প্রাচীনকালে মানুষ বিভিন্ন বস্তু বা জিনিস গণনা করতে গিয়ে যেসব সংখ্যা সৃষ্টি করেছিল তাদেরকে গণনাকারী বা স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক সংখ্যা বলা হয়। যেমন: ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮,... ইত্যাদি।

অধ্যায় শেষে শিক্ষার্থীরা -

  • অঙ্কপাতনের মাধ্যমে স্বাভাবিক সংখ্যা গঠন করতে পারবে।
  • দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রীতিতে অঙ্কপাতন করে স্বাভাবিক সংখ্যা পড়তে বা লিখতে পারবে।
  • মৌলিক সংখ্যা, যৌগিক সংখ্যা ও সহ-মৌলিক সংখ্যা চিহ্নিত করতে পারবে।
  • বিভাজ্যতা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • ২,৩,৪,৫, ৯ দ্বারা বিভাজ্যতা যাচাই করতে পারবে।
  • স্বাভাবিক সংখ্যা, ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশের গ.সা.গু ও ল.সা.গু নির্ণয় করতে পারবে।
  • ভগ্নাংশ ও দশমিক ভগ্নাংশের সরলীকরণ করে গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অঙ্কপাতন (১.১)

1.8k

পাটিগণিতে দশটি প্রতীক দ্বারা সব সংখ্যাই প্রকাশ করা যায়। এ প্রতীকগুলো হলো: ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ০। এগুলোকে অঙ্কও বলা হয়। আবার এগুলো সংখ্যাও। শূন্য ব্যতীত বাকি সংখ্যাগুলো স্বাভাবিক সংখ্যা। এদের মধ্যে প্রথম নয়টি প্রতীককে সার্থক অঙ্ক এবং শেষেরটিকে শূন্য বলা হয়। সংখ্যাগুলোর স্বকীয় বা নিজস্ব মান যথাক্রমে এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয় ও শূন্য।
৯ অপেক্ষা বড় সব সংখ্যাই দুই বা ততোধিক অঙ্ক পাশাপাশি বসিয়ে লেখা হয়। কোনো সংখ্যা অঙ্ক দ্বারা লেখাকে অঙ্কপাতন বলে। অঙ্কপাতনে দশটি প্রতীকই ব্যবহার করা হয়। দশ-ভিত্তিক বলে সংখ্যা প্রকাশের রীতিকে দশমিক বা দশ-গুণোত্তর রীতি বলা হয়। এ রীতিতে কয়েকটি অঙ্ক পাশাপাশি বসিয়ে সংখ্যা লিখলে এর সর্বাপেক্ষা ডানদিকের অঙ্কটি তার স্বকীয় মান প্রকাশ করে। ডানদিক থেকে দ্বিতীয় অঙ্কটি এর স্বকীয় মানের দশগুণ অর্থাৎ তত দশক প্রকাশ করে। তৃতীয় অঙ্কটি এর দ্বিতীয় স্থানের মানের দশগুণ বা স্বকীয় মানের শতগুণ অর্থাৎ, তত শতক প্রকাশ করে। এরূপে কোনো অঙ্ক এক এক স্থান করে বামদিকে সরে গেলে তার মান উত্তরোত্তর দশগুণ করে বৃদ্ধি পায়।
লক্ষ করি যে, কোনো সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর মান তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে। সংখ্যায় ব্যবহৃত কোনো অঙ্ক তার অবস্থানের জন্য যে সংখ্যা প্রকাশ করে, তাকে ঐ অঙ্কের স্থানীয় মান বলা হয়। যেমন, ৩৩৩ সংখ্যাটির সর্বডানের ৩ এর স্থানীয় মান ৩, ডানদিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ৩ এর স্থানীয় মান যথাক্রমে ৩০, ৩০০। তাহলে দেখা যাচ্ছে, একই অঙ্কের স্থান পরিবর্তনের ফলে স্থানীয় মানের পরিবর্তন হয়। কিন্তু তার নিজস্ব বা স্বকীয় মান একই থাকে।
অর্থাৎ,  =  ×  +  ×  + 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ০

দেশীয় সংখ্যাপঠন রীতি (১.২)

1.1k

আমরা পূর্ববর্তী শ্রেণিতে দেশীয় রীতি অনুযায়ী গণনা করতে শিখেছি। এ রীতিতে সংখ্যার ডানদিক থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান যথাক্রমে একক, দশক ও শতক প্রকাশ করে। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম স্থানকে যথাক্রমে হাজার, অযুত, লক্ষ, নিযুত, কোটি বলা হয়।

লক্ষ

হাজার

শতক

দশক

একক

কোটি

নিযুত

লক্ষ

অযুত

হাজার

অষ্টম

সপ্তম

ষষ্ঠ

পঞ্চম

চতুর্থ

তৃতীয়

দ্বিতীয়

প্রথম

এককের ঘরের অঙ্কগুলো কথায় লেখা বা পড়া হয় এক, দুই, তিন, চার ইত্যাদি। কিছু দুই অঙ্কের সংখ্যাগুলোর বিশেষ বিশেষ নাম রয়েছে। যেমন, ২৫, ৩৮, ৭১ পড়া হয় যথাক্রমে পঁচিশ, আটত্রিশ, একাত্তর। শতকের ঘরের ১, ২, ৩ ইত্যাদি অঙ্কগুলোকে যথাক্রমে একশ, দুইশ, তিনশ ইত্যাদি পড়া হয়। হাজারের ঘরের অঙ্কগুলোকে শতকের ঘরের মতো পড়তে হয়। যেমন, পাঁচ হাজার, সাত হাজার ইত্যাদি। অযুতের ঘরের অঙ্ককে অযুত হিসেবে পড়া হয় না। অযুত ও হাজারের ঘর মিলিয়ে যত হাজার হয় তত হাজার পড়া হয়। যেমন, অযুতের ঘরে ৭ এবং হাজারের ঘরে ৫ থাকলে দুই ঘরের অঙ্ক মিলিয়ে পঁচাত্তর হাজার পড়তে হয়।

নিযুত ও লক্ষের ঘর মিলিয়ে যত লক্ষ হয় তত লক্ষ হিসেবে পড়া হয়। যেমন, নিযুতের ঘরে ৮ এবং লক্ষের ঘরে ৩ থাকলে দুই ঘরের অঙ্ক মিলিয়ে তিরাশি লক্ষ পড়া হয়। কোটির ঘরের অঙ্ককে কোটি বলে পড়া হয়।
কোটির ঘরের বামদিকের সব ঘরের অঙ্কগুলোকে কোটির ঘরের সাথে মিলিয়ে যত কোটি হয় তত কোটি পড়া হয়।
চার বা ততোধিক অঙ্কে লিখিত সংখ্যা সহজে ও শুদ্ধভাবে পড়ার জন্য কমা (,) ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে, যেকোনো সংখ্যার ডানদিক থেকে তিন অঙ্ক পরে একটি কমা এবং এরপর দুই অঙ্ক পর পর কমা ব্যবহার করা যায়।

উদাহরণ ১। কমা বসিয়ে কথায় লেখ: ৯৮৭৫৪৭৩২১।
সমাধান: সংখ্যাটির ডান দিক থেকে তিন ঘর পরে কমা (,); এরপর দুই ঘর পর পর কমা (,) বসালে আমরা পাই, ৯৮,৭৫,৪৭,৩২১।
এখন কোটির ঘরের দুইটি অঙ্ক মিলিয়ে ৯৮, নিযুত ও লক্ষের ঘরের দুইটি অঙ্ক মিলিয়ে ৭৫, অযুত ও হাজারের ঘরের দুইটি অঙ্ক মিলিয়ে ৪৭, শতকের ঘরে ৩, দশকের ঘরে ২ এবং এককের ঘরে ১ অবস্থিত। সুতরাং সংখ্যাটিকে কথায় প্রকাশ করলে হয় আটানব্বই কোটি পঁচাত্তর লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার তিনশ একুশ।

উদাহরণ ২। অঙ্কে লেখ: সাত কোটি পাঁচ লক্ষ নব্বই হাজার সাত।

সমাধান: কোটি নিযুত লক্ষ অযুত হাজার শতক দশক একক

৭ ০ ৫ ৯ ০ ০ ০ ৭

কথায় প্রকাশিত সংখ্যাটি অঙ্কপাতনের পর দেখা যায় যে, নিযুত, শতক এবং দশকের ঘরে কোনো অঙ্ক নাই। এ খালি ঘরগুলোতে ০ বসিয়ে সংখ্যাটি পাওয়া যায়।

সংখ্যাটি ৭,০৫, ৯০,০০৭।

উদাহরণ ৩। সাত অঙ্কের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যা লেখ।

সমাধান : এক অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যা ৯। অঙ্কপাতনের যেকোনো অবস্থানে ৯ এর স্থানীয় মান বৃহত্তম হবে। সুতরাং, সাতটি ৯ পর পর লিখলেই সাত অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যা পাওয়া যায়।

নির্ণেয় বৃহত্তম সংখ্যা: ৯৯, ৯৯, ৯৯৯
আবার, ক্ষুদ্রতম অঙ্ক হলো ০। পর পর সাতটি শূন্য লিখলে সংখ্যাটি শূন্যই থাকে। সুতরাং, সর্ববামে সার্থক ক্ষুদ্রতম অঙ্ক ১ লিখে ডানে পর পর ছয়টি ০ বসালে ক্ষুদ্রতম সংখ্যা পাওয়া যাবে।
নির্ণেয় ক্ষুদ্রতম সংখ্যা ১০,০০,০০০

উদাহরণ ৪। একই অঙ্ক মাত্র একবার ব্যবহার করে ৮, ০, ৭, ৫, ৩, ৪ অঙ্কগুলো দ্বারা ছয় অঙ্কের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যা গঠন কর।

সমাধান: অঙ্কপাতনে যেকোনো অবস্থানে বৃহত্তর অঙ্কের স্থানীয় মান ক্ষুদ্রতর অঙ্কের স্থানীয় মান
অপেক্ষা বড় হবে।
এখানে, ৮ > ৭ > ৫ > ৪ > ৩ ১০
সুতরাং, বড় থেকে ছোট ক্রমে অঙ্কপাতন করলেই বৃহত্তম সংখ্যাটি পাওয়া যাবে।
বৃহত্তম সংখ্যা ৮,৭৫,৪৩০।
আবার, ০৩৪৫৭০৮
সংখ্যাটি ছোট থেকে বড় ক্রমে অঙ্কপাতন করলেই ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি পাওয়া যাবে। কিন্তু সর্ববামে
০ বসালে প্রাপ্ত সংখ্যাটি অর্থবোধক ছয় অঙ্কের সংখ্যা না হয়ে সংখ্যাটি পাঁচ অঙ্কের হবে। অতএব,
০ বাদে ক্ষুদ্রতম অঙ্কটি সর্ববামে লিখে শূন্যসহ অন্যান্য অঙ্কগুলো ছোট থেকে বড় ক্রমে লিখলে ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি পাওয়া যায়।
ক্ষুদ্রতম সংখ্যা ৩,০৪,৫৭৮।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

৪, ০, ৫, ৩, ৯, ৮, ৭।

আন্তর্জাতিক গণনা পদ্ধতি (১.৩)

1.3k

এ পদ্ধতিতে একক থেকে বিলিয়ন পর্যন্ত স্থানগুলো নিচের নিয়মে পর পর এভাবে সাজানো হয়:

বিলিয়নমিলিয়নহাজারশতকদশকএকক
১১১১১১১১১

একক, দশক ও শতকের ঘরের অঙ্কগুলো আমাদের দেশীয় রীতিতেই পড়া ও কথায় প্রকাশ করা হয়। শতকের ঘরের বামদিকের ঘরটি হাজারের। হাজারের ঘরে অনূর্ধ্ব ৩ অঙ্কবিশিষ্ট সংখ্যা লেখা যায় এবং যে সংখ্যা লেখা হয় তত হাজার পড়া হয়। যেমন, উপরে প্রদত্ত ছকে হাজারের ঘরে লিখিত সংখ্যাটি একশ এগারো এবং পড়তে হয়, একশ এগারো হাজার। হাজারের ঘরের বামদিকের ঘর মিলিয়নের এবং এ ঘরে অনূর্ধ্ব তিন অঙ্কবিশিষ্ট সংখ্যা লেখা যায়। যে সংখ্যা লেখা হয় তত মিলিয়ন পড়া হয়। যেমন, ছকে লিখিত সংখ্যা হলো একশ এগারো এবং পড়তে হয়, একশ এগারো মিলিয়ন। মিলিয়নের ঘরের বামের ঘর বিলিয়নের। যে সংখ্যা লেখা হয় তত বিলিয়ন পড়া হয়। যেমন, ছকে লিখিত সংখ্যা হল একশ এগারো এবং পড়তে হয়, একশ এগারো বিলিয়ন।

কোনো সংখ্যা শুদ্ধভাবে ও সহজে পড়ার জন্য যে রীতিতে ডানদিক থেকে তিন অঙ্ক পর পর কমা (,) বসানো হয়, তা আন্তর্জাতিক গণনা পদ্ধতি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণনা রীতির পারস্পরিক সম্পর্ক (১.৪)

985

কোটি

নিযুত

লক্ষ

অযুত

হাজার

শতক

দশক

একক

বিলিয়ন

মিলিয়ন

হাজার

শতক

দশক

একক

১১১

১১১

১১১

লক্ষ করি :

  • মিলিয়নের ঘরে সর্বডানের ১ এর স্থানীয় মান ১ মিলিয়ন। দেশীয় রীতিতে এ ঘরটি হলো নিযুতের ঘর। অর্থাৎ, এ ঘরে ১ এর স্থানীয় মান ১ নিযুত বা ১০ লক্ষ।
  • বিলিয়নের ঘরের সর্বডানের ১ এর স্থানীয় মান ১ বিলিয়ন। কিন্তু দেশীয় রীতিতে এ ঘরের ১ এর স্থানীয় মান ১০০ কোটি।

সুতরাং আমরা পাই,

১ মিলিয়ন = ১০ লক্ষ
১ বিলিয়ন = ১০০ কোটি

উদাহরণ ৫। আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে কথায় লেখ: ২০৪৩৪০৪৩২০০৪।

সমাধান: ডানদিক থেকে তিন অঙ্ক পর পর কমা বসিয়ে আমরা পাই, ২০৪,৩৪০,৪৩২,০০৪।
সুতরাং সংখ্যাটিকে কথায় প্রকাশ করলে হয়:
দুইশ চার বিলিয়ন তিনশ চল্লিশ মিলিয়ন চারশ বত্রিশ হাজার চার।

উদাহরণ ৬।

(ক) ৫ মিলিয়নে কত লক্ষ?
(খ) ৫০০ কোটিতে কত বিলিয়ন ?

সমাধান :

(ক)

১ মিলিয়ন = ১০ লক্ষ
৫ মিলিয়ন = (৫ × ১০) লক্ষ = ৫০ লক্ষ।

(খ)

১০০ কোটি = ১ বিলিয়ন
১ কোটি = (১ ÷ ১০০) বিলিয়ন
৫০০ কোটি = (৫০০ ÷১০০) বিলিয়ন = ৫ বিলিয়ন

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অনুশীলনী (১.১)

890

১। নিচের সংখ্যাগুলো অঙ্কে লেখ:
(ক) বিশ হাজার সত্তর, ত্রিশ হাজার আট, পঞ্চান্ন হাজার চারশ।
(খ) চার লক্ষ পাঁচ হাজার, সাত লক্ষ দুই হাজার পঁচাত্তর।
(গ) ছিয়াত্তর লক্ষ নয় হাজার সত্তর, ত্রিশ লক্ষ নয়শ চার।
(ঘ) পাঁচ কোটি তিন লক্ষ দুই হাজার সাত।
(ঙ) আটানব্বই কোটি সাত লক্ষ পাঁচ হাজার নয়।
(চ) একশ দুই কোটি পাঁচ হাজার সাতশ আট।
(ছ) নয়শ পঞ্চান্ন কোটি সাত লক্ষ নব্বই।
(জ) তিন হাজার পাঁচশ কোটি পঁচাশি লক্ষ নয়শ একুশ।
(ঝ) পঞ্চাশ বিলিয়ন তিনশ এক মিলিয়ন পাঁচশ আটত্রিশ হাজার।

২। নিচের সংখ্যাগুলো কথায় লেখ:
(ক) ৪৫৭৮৯; ৪১০০৭; ৮৯১০৭১।
(খ) ২০০০৭৮; ৭৯০৬৭৮; ৮৯০০৭৫।
(গ) ৪৪০০৭৮৫; ৬৮৭০৫০৯; ৭১০৫০৭০।
(ঘ) ৫০৮৭৭০০৩; ৯৪৩০৯৭৯৯; ৮৩৯০০৭৬৫।

৩। নিচের সংখ্যাগুলোতে যে সকল সার্থক অঙ্ক আছে তাদের স্থানীয় মান নির্ণয় কর:
(ক) ৭২
(খ) ৩৫৯
(গ) ৪২০৩
(ঘ) ৭০৮০৯
(ঙ) ১৩০০৪৫০৭৮
(চ) ২৫০০০৯৭০৯
(ছ) ৫৯০০০০৭৮৪৫
(জ) ৯০০৭৫৮৪৩২
(ঝ) ১০৫৭৮০৯২৩০০৪।

৪। নয় অঙ্কের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যা লেখ।

৫। একই অঙ্ক মাত্র একবার ব্যবহার করে সাত অঙ্কের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যা গঠন কর: (ক) ৪, ৫, ১, ২, ৮, ৯, ৩ (খ) ৪, ০, ৫, ৩, ৯, ৮, ৭।

৬। সাত অঙ্ক বিশিষ্ট কোন বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যার প্রথমে ৭ এবং শেষে ৬ আছে?

৭। ৭৩৪৫৫ এর অঙ্কগুলোকে বিপরীতভাবে সাজালে যে সংখ্যা হয় তা কথায় প্রকাশ কর।

Content added By

মৌলিক ও যৌগিক সংখ্যা (১.৫)

668

নিচে কয়েকটি সংখ্যার গুণনীয়ক লেখা হলো:

সংখ্যা

গুণনীয়ক

১, ২

১,৫

১৩

১, ১৩

লক্ষ করি: ২,৫ ও ১৩ এর গুণনীয়ক কেবল ১ এবং ঐ সংখ্যাটি। এই ধরনের সংখ্যাগুলো মৌলিক সংখ্যা।

সংখ্যাগুণনীয়ক
১, ২, ৩, ৬
১, ৩, ৯
১২১, ২, ৩, ৪, ৬, ১২

আবার, ৬, ৯ এবং ১২ এর গুণনীয়ক ১ এবং ঐ সংখ্যা ছাড়াও এক বা একাধিক সংখ্যা আছে। এই ধরনের সংখ্যাগুলো যৌগিক সংখ্যা।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সহমৌলিক সংখ্যা (১.৬)

2.4k

৮ এবং ১৫ দুইটি স্বাভাবিক সংখ্যা।
এখানে, ৮ = ১ ×××২ এবং ১৫ = ১৩×

লক্ষ করি, ৮ এর গুণীনয়কগুলো ১, ২, ৪, ৮ এবং ১৫ এর গুণনীয়কগুলো ১, ৩, ৫, ১৫। দেখা যাচ্ছে, ৮ এবং ১৫ এর মধ্যে ১ ছাড়া অন্য কোনো সাধারণ গুণনীয়ক নেই। তাই, ৮ এবং ১৫ সংখ্যাদ্বয় পরস্পর সহমৌলিক।

আবার ১০, ২১ ও ১৪৩ এর মধ্যে ১ ছাড়া অন্য কোনো সাধারণ গুণনীয়ক নেই। অতএব, সংখ্যাগুলো পরস্পর সহমৌলিক।

দুই বা ততোধিক সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়ক শুধু ১ হলে সংখ্যাগুলো পরস্পর সহমৌলিক।

কাজ:
১. দুই অঙ্কবিশিষ্ট ১০টি মৌলিক সংখ্যা লেখ।
২. ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর মৌলিক সংখ্যা নির্ণয় কর।
৩. নিচের জোড়া সংখ্যাগুলোর কোনগুলো সহমৌলিক নির্ণয় কর:
(ক) ১৬, ২৮
(খ) ২৭, ৩৮
(গ) ৩১, ৪৩
(ঘ) ২১০, ১৪৩
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বিভাজ্যতা (১.৭)

1k

২ দ্বারা বিভাজ্য
২ এর কয়েকটি গুণিতক লিখে পাই,

×০ = ০, ২× ১ = ২, ২×২ = ৪, ২×৩ = ৬, ২×৪ = ৮,
×৫ = ১০, ২×৬ = ১২, ২× ৭ = ১৪, ২×৮ = ১৬, ২×৯ = ১৮ ইত্যাদি।

গুণফলের প্রক্রিয়া লক্ষ করি। যেকোনো সংখ্যাকে ২ দ্বারা গুণ করলে গুণফলের একক স্থানীয় অঙ্কটি হবে ০, ২, ৪, ৬ বা ৮। সুতরাং কোনো সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্ক ০, ২, ৪, ৬ বা ৮ হলে, সংখ্যাটি ২ দ্বারা বিভাজ্য হবে। এরূপ সংখ্যাকে আমরা জোড় সংখ্যা বলে জানি।

কোনো সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্কটি শূন্য (০) অথবা জোড় সংখ্যা হলে, প্রদত্ত সংখ্যাটি ২ দ্বারা বিভাজ্য হবে।

৪ দ্বারা বিভাজ্য
৩৫১২ কে স্থানীয় মানে লিখলে হয়:

৩৫১২ = ৩০০০ + ৫০০ + ১০ + ২
এখানে, ১০, ৪ দ্বারা বিভাজ্য নয়। কিন্তু দশকের বামদিকের যেকোনো অঙ্কের স্থানীয় মান ৪ দ্বারা বিভাজ্য।
আবার, ৩৫১২ = ৩০০০ + ৫০০ + ১২
এখানে, ১২, ৪ দ্বারা বিভাজ্য। সুতরাং ৩৫১২ সংখ্যাটি ৪ দ্বারা বিভাজ্য। অর্থাৎ একক ও দশক স্থানীয় অঙ্ক দুইটি দ্বারা গঠিত সংখ্যাটি ৪ দ্বারা বিভাজ্য হওয়ায় সংখ্যাটি ৪ দ্বারা বিভাজ্য।

কোনো সংখ্যার একক ও দশক স্থানের অঙ্ক দুইটি দ্বারা গঠিত সংখ্যা ৪ দ্বারা বিভাজ্য হলে, ঐ সংখ্যাটি ৪ দ্বারা বিভাজ্য হবে।
আবার, একক ও দশক উভয় স্থানের অঙ্ক ০ হলে, সংখ্যাটি ৪ দ্বারা বিভাজ্য হবে।

৫ দ্বারা বিভাজ্য
৫ এর কয়েকটি গুণিতক লিখি।

×০ = ০,
×১ = ৫,
×২ = ১০,
×৩ = ১৫,
×৪ = ২০,
×৫ = ২৫,
×৬ = ৩০,
× ৭ = ৩৫,
×৮ = ৪০,
×৯ = ৪৫ ইত্যাদি।

গুণফলের প্রক্রিয়া লক্ষ করে দেখি যে, কোনো সংখ্যাকে ৫ দিয়ে গুণ করলে গুণফলের একক স্থানীয় অঙ্কটি হবে ০ বা ৫। সুতরাং একক স্থানে ০ বা ৫ অঙ্কযুক্ত সংখ্যা ৫ দ্বারা বিভাজ্য হবে।

কোনো সংখ্যার একক স্থানীয় অঙ্ক ০ বা ৫ হলে, সংখ্যাটি ৫ দ্বারা বিভাজ্য হবে।

৩ দ্বারা বিভাজ্য

এখানে, ৩ ×× ৪ এবং ৩ ×× ১১ সংখ্যাগুলো ৩ দ্বারা বিভাজ্য এবং একক, দশক ও শতক স্থানীয় অঙ্কগুলোর যোগফল = ১+৪+৭+=১২ ; যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।

১৪৭ সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য।

আবার, ১৪৮ সংখ্যাটি বিবেচনা করি।

এখানে, ৩ ×× ৪ এবং ৩ ×× ১১ সংখ্যাগুলো ৩ দ্বারা বিভাজ্য। কিন্তু একক, দশক ও শতক স্থানীয় অঙ্কগুলোর যোগফল = ১+৪+৮=১৩ ; যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য নয়।

১৪৮ সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য নয়।

কোনো সংখ্যার অঙ্কগুলোর যোগফল ৩ দ্বারা বিভাজ্য হলে, ঐ সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য হবে।

৬ দ্বারা বিভাজ্য
কোনো সংখ্যা ২ এবং ৩ দ্বারা বিভাজ্য হলে সংখ্যাটি ৬ দ্বারাও বিভাজ্য হবে।

৯ দ্বারা বিভাজ্য
৩৭৮ সংখ্যাটি বিবেচনা করি।

কোনো সংখ্যার অঙ্কগুলোর যোগফল ৯ দ্বারা বিভাজ্য হলে, প্রদত্ত সংখ্যাটি ৯ দ্বারা বিভাজ্য হবে।
কাজ:
১। তিন বা চার বা পাঁচ অঙ্কবিশিষ্ট ৩ ও ৯ দ্বারা বিভাজ্য সংখ্যা লিখ।

উদাহরণ ১। জারিফ জাওয়াদকে এক অঙ্কের ছয়টি সংখ্যা লিখতে বলায় যে ২, ০, ৩, ৮, ৭ ও ৪ লিখলো। জারিফ জাওয়াদকে ৪৭৫ ২ লিখে বললো এমন কিছু অংক যা চিহ্নিত স্থানে বসালে প্রতিক্ষেত্রে গঠিত সংখ্যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য হয়।

(ক) জাওয়াদের লেখা সংখ্যাগুলো থেকে মৌলিক সংখ্যাগুলো আলাদা করে সংখ্যাগুলোর মৌলিক সংখ্যা হওয়ার কারণ লিখ।
(খ) দেখাও যে জাওয়াদের লেখা অঙ্কগুলো দ্বারা গঠিত বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যার বিয়োগফল ৯ দ্বারা বিভাজ্য।
(গ) চিহ্নিত স্থানে কোন কোন অঙ্ক বসবে তা নির্নয় কর?

সমাধান:

(ক)

জাওয়াদের লেখা অঙ্কগুলো হলো; ২, ০, ৩, ৮, ৭৩৪।
এদের মধ্যে মৌলিক সংখ্যা ২, ৩, ৭
কারণ, ২=১× ২, ৩=১ × ৩, ৭=১ × ৭,
অর্থাৎ, ২, ৩, ৭ এর গুননীয়ক ১ এবং ঐ সংখ্যাটি।

(খ)

জাওয়াদের লেখা অঙ্কগুলো হলো; ২, ০, ৩, ৮, ৭ ও ৪।
এখানে, >>>>>
অতএব, ২, ০, ৩, ৮, ৭ ও ৪ এর দ্বারা গঠিত বৃহত্তম সংখ্যাটি, ৮৭৪৩২০
এবং ক্ষুদ্রতম সংখ্যা= ২০৩৪৭৮
এখন, গঠিত বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যার
বিয়োগফল = ৮৭৪৩২০-২০৩৪৭৮ = ৬৭০৮৪২
আবার, ৬৭০৮৪২ সংখ্যাটির অঙ্কগুলোর যোহফল
= ৬+৭+০+৮+৪+২ = ২৭; যা ৯ দ্বারা বিভাজ্য।
সুতরাং গঠিত বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যার বিয়োগফল ৯ দ্বারা বিভাজ্য। (দেখানো হলো)

(গ)

৪৭৫ ২ এ ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর যোগফল = ৪+৭+৫+২ = ১৮; যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
অতএব এর স্থানে ০ বসালে সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য হবে।
অঙ্কগুলো যোগফলের সাথে ৩ যোগ করলে হয়, ১৮+৩=২১; যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
অতএব এর স্থলে ৩ বসালে গঠিত সংখ্যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
একই ভাবে, ১৮+৬ = ২৪; যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
১৮+৯= ২৭; যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
সতুরাং এর স্থলে ৬ ও ৯ এর যে কোনটি বসালেও গঠিত সংখ্যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য হবে।
অতএব এর স্থানে ০, ৩, ৬, ৯ অঙ্কগুলোর যে কোনোটি বসালে প্রতিক্ষেত্রে গঠিত সংখ্যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য হবে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

১২৭, ১৮৬, ২২৮৪, ৩২৫ চারটি সংখ্যা।

অনুশীলনী (১.২)

467

১। ৩০ থেকে ৭০ এর মধ্যে মৌলিক সংখ্যাগুলো লেখ।

২। সহমৌলিক জোড়া নির্ণয় কর:

(ক) ২৭, ৫৪
(খ) ৬৩, ৯১
(গ) ১৮৯, ২১০
(ঘ) ৫২, ৯৭

৩। নিচের কোন সংখ্যাগুলো নির্দেশিত সংখ্যা দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য?

(ক) ৩ দিয়ে: ৫৪৫, ৬৭৭৪, ৮৫৩৫
(খ) ৪ দিয়ে ৮৫৪২, ২১৮৪, ৫২৭৪
(গ) ৬ দিয়ে: ২১৮৪, ১০৭৪, ৭৮৩২
(ঘ) ৯ দিয়ে ৫০৭৫, ১৭৩৭, ২১৯৩

৪। নিচের চিহ্নিত স্থানে কোন কোন অঙ্ক বসালে সংখ্যাটি ৯ দ্বারা বিভাজ্য হবে?

(ক) ৫ ৪৭২৩
(খ) ৮১২ ৭৪
(গ) ৪১৫৭৮
(ঘ) ৫৭৪২

৫। পাঁচ অঙ্কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যা নির্ণয় কর যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
৬। সাত অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যা নির্ণয় কর যা ৬ দ্বারা বিভাজ্য।
৭। ৩,০, ৫, ২, ৭ অঙ্কগুলো দ্বারা গঠিত বৃহত্তম সংখ্যা ৪ এবং ৫ দ্বারা বিভাজ্য কিনা তা নির্ণয় কর।

Content added By

গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক (গ.সা.গু.) (১.৮)

1.3k

আমরা জানি, ১২ এর গুণনীয়কগুলো ১, ২, ৩, ৪, ৬ এবং ১২ এবং ৩০ এর গুণনীয়কগুলো ১, ২, ৩, ৫, ৬, ১০, ১৫ এবং ৩০
এখানে, ১২ এবং ৩০ এর সাধারণ গুণনীয়কগুলো ১, ২, ৩ এবং ৬
সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে গরিষ্ঠ গুণনীয়ক ৬

১২ এবং ৩০ এর গ.সা.গু. ৬

প্রদত্ত সংখ্যাগুলোর সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় গুণনীয়ককে ঐ সংখ্যাগুলোর গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক (গ.সা.গু.) বলে।

আবার, আমরা জানি, ১২ এর মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ২, ৩
এবং ৩০ এর মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ৩, ৫
১২ এবং ৩০ এর সাধারণ মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ৩
১২ এবং ৩০ এর গ.সা.গু. = ২ × ৩ = ৬

প্রদত্ত সংখ্যাগুলোর গ.সা.গু. হচ্ছে এদের সাধারণ মৌলিক গুণনীয়কগুলোর গুণফল।

উদাহরণ ১। গুণনীয়ক এবং মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে ২৮, ৪৮ এবং ৭২ এর গ.সা.গু. নির্ণয় কর।

সমাধান: গুণনীয়কের সাহায্যে গ.সা.গু. নির্ণয় :

এখানে,
২৮ এর গুণনীয়কগুলো ১, ২, ৪, ৭. ১৪, ২৮
৪৮ এর গুণনীয়কগুলো ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮, ১২, ১৬, ২৪, ৪৮
৭২ এর গুণনীয়কগুলো ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮, ৯, ১২, ১৮, ২৪, ৩৬, ৭২

২৮, ৪৮ এবং ৭২ এর সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে গরিষ্ঠ গুণনীয়কটি ৪।
২৮, ৪৮ এবং ৭২ এর গ.সা.গু. ৪

মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে গ.সা.গু. নির্ণয় :
এখানে, ২৮ এর মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ২, ৭
৪৮ এর মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ২, ২, ২, ৩
এবং ৭২ এর মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ২, ২, ৩, ৩

২৮, ৪৮ এবং ৭২ এর সাধারণ মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ২

২৮, ৪৮ এবং ৭২ এর গ.সা.গু. = ২ × ২ = ৪

ভাগ প্রক্রিয়ায় গ.সা.গু. নির্ণয় :

উদাহরণ ২। ১২ ও ৩০ এর গ.সা.গু. নির্ণয়।

শেষ ভাজক ৬
১২ ও ৩০ এর গ.সা.গু. ৬।

উদাহরণ ৩। ২৮, ৪৮ এবং ৭২ এর গ.সা.গু. নির্ণয়।

এখানে, শেষ ভাজক ৪, যা ২৮ ও ৪৮ এর গ.সা.গু. এবং ৪ দ্বারা ৭২ বিভাজ্য।
২৮, ৪৮ ও ৭২ এর গ.সা.গু. 8

কাজ:
চার অঙ্কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যা ও তিন অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যা লেখ যাদের প্রত্যেকের একক ঘরের অঙ্ক ৮ হবে। সংখ্যা দুইটির গ.সা.গু. মৌলিক গুণনীয়ক ও ভাগ প্রক্রিয়ায় নির্ণয় কর।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

একজন ছাত্রের নিকট ৬টি জাম, ৯টি আম এবং ১২টি লিচু আছে।

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

কয়েকজন বালকের মধ্যে ৭২টি আপেল এবং ৮৮টি কলা সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হলো।

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

৩৬৩ এবং ৪৬৩ দুইটি সংখ্যা।

লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক (ল.সা.গু.) (১.৯)

1.1k

আমরা জানি, ৪ এর গুণিতকগুলো: ৪, ৮, ১২, ১৬,২০, ২৪, ২৮,৩২, ৩৬,৪০,৪৪, ৪৮ ইত্যাদি।
৬ এর গুণিতকগুলো: ৬, ১২, ১৮, ২৪, ৩০, ৩৬, ৪২, ৪৮, ৫৪ ইত্যাদি।
এবং ৮ এর গুণিতকগুলো: ৮, ১৬, ২৪, ৩২, ৪০, ৪৮, ৫৬, ৬৪ ইত্যাদি।

দেখা যাচ্ছে, ৪, ৬ ও ৮ এর সাধারণ গুণিতক ২৪, ৪৮ ইত্যাদি, এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট গুণিতক ২৪।
৪, ৬ ও ৮ এর ল.সা.গু ২৪

দুই বা ততোধিক সংখ্যার ক্ষুদ্রতম সাধারণ গুণিতককে তাদের লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক (ল.সা.গু.) বলে। আবার ৪, ৬, ৮ সংখ্যাগুলোকে মৌলিক গুণনীয়কে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়:

৪=২×২, ৬ = ২ × ৩, ৮=২××

এখানে, ৪, ৬, ৮ সংখ্যাগুলোর মৌলিক গুণনীয়কে ২ আছে সর্বোচ্চ ৩ বার, ৩ আছে সর্বোচ্চ ১ বার। কাজেই ২ তিনবার, ৩ একবার নিয়ে ধারাবাহিক গুণ করলে পাওয়া যায়, ২×২×২×৩ বা ২৪, যা প্রদত্ত সংখ্যাগুলোর ল.সা.গু.

ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ায় ল.সা.গু. নির্ণয়:

উদাহরণ ৪। ১২, ১৮, ২০, ১০৫ এর ল.সা.গু. নির্ণয়।

সমাধান:

নির্ণেয় ল.সা.গু. = ২×× 3 × 5 ×× ৭ = ১২৬০

প্রদত্ত উদাহরণ থেকে নিয়মটি লক্ষ করি:

  • সংখ্যাগুলোর মধ্যে (,) চিহ্ন দিয়ে তাদেরকে এক সারিতে লিখে নিচে একটি রেখা (L) টানা হয়েছে।
  • প্রদত্ত সংখ্যাগুলোর কমপক্ষে দুইটিকে সাধারণ মৌলিক গুণনীয়ক দ্বারা ভাগ করা হয়েছে। গুণনীয়কটি দ্বারা যে সংখ্যাগুলো নিঃশেষে বিভাজ্য তাদের ভাগফলও এর সঙ্গে নিচে লেখা আছে। যেগুলো বিভাজ্য নয় সেগুলো অপরিবর্তিত রেখে লেখা হয়েছে।
  • নিচের সারির সংখ্যাগুলো নিয়ে আগের নিয়মে কাজ করা হয়েছে।
  • এরূপে ভাগ করতে করতে সবার নিচের সারির সংখ্যাগুলো যখন পরস্পর সহমৌলিক হয়েছে তখন আর ভাগ করা হয়নি।
  • সবার নিচের সারির সংখ্যাগুলো ও ভাজকগুলোর ধারাবাহিক গুণফলই নির্ণেয় ল.সা.গু.।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

১৫, ২৫, ৩০ তিনটি সংখ্যা।

গ.সা.গু. ও ল.সা.গু. এর মধ্যে সম্পর্ক (১.১০)

3.9k

যেকোনো দুইটি সংখ্যা ১০ এবং ৩০ নিয়ে মৌলিক গুণনীয়কগুলো নির্ণয় করা হলো:

১০ = ২ × ৫, ৩০ = ২ ××
১০ এবং ৩০ এর গ.সা.গু. = ২ × ৫ = ১০
এবং ল.সা.গু. = ২ ×× ৫ = ৩০

আবার, ১০ এবং ৩০ সংখ্যাদ্বয়ের গুণফল = ১০ × ৩০ = (২০৫) × (২×৩০৫)
= গ.সা.গু. × ল.সা.গু.
দুইটি সংখ্যার গুণফল সংখ্যা দুইটির গ.সা.গু. ও ল.সা.গু. এর গুণফলের সমান।

দুইটি সংখ্যার গুণফল = সংখ্যাদ্বয়ের গ.সা.গু. × সংখ্যাদ্বয়ের ল.সা.গু.

কাজ:
দুই অঙ্ক বিশিষ্ট দুইটি বা তিনটি সংখ্যার গ.সা.গু. অথবা ল.সা.গু. দ্রুত নির্ণয়ের কুইজ প্রতিযোগিতা কর।

উদাহরণ ৫। মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে ৩০, ৩৬, ৪০ এর ল.সা.গু. নির্ণয় কর।

সমাধান: এখানে, ৩০ = ২ ××

৩০ এর মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ৩, ৫

৩৬ = ২×××

৩৬ এর মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ২, ৩, ৩

এবং ৪০ = ২×××

৪০ এর মৌলিক গুণনীয়কগুলো ২, ২, ২, ৫

৩০, ৩৬, ৪০ এর ল.সা.গু. ২××××× ৫ = ৩৬০

নির্ণেয় ল.সা.গু. ৩৬০

উদাহরণ ৬। ভাগ প্রক্রিয়ায় ৪২, ৪৮ ও ৫৬ এর গ.সা.গু. নির্ণয় কর।

উদাহরণ ৭। কোন বৃহত্তম সংখ্যা দ্বারা ৩৬৫ ও ৪৬৩ কে ভাগ করলে ভাগশেষ যথাক্রমে ৫ ও ৭ থাকে?

সমাধান: যেহেতু বৃহত্তম সংখ্যা দ্বারা ৩৬৫ ও ৪৬৩ কে ভাগ করলে ভাগশেষ যথাক্রমে ৫ ও ৭থাকে। কাজেই নির্ণেয় সংখ্যাটি হবে (৩৬৫ ৫) বা ৩৬০ এবং (৪৬৩৭) বা ৪৫৬ এর গ.সা.গু.।

৩৬০ ও ৪৫৬ এর গ.সা.গু. ২৪।
নির্ণেয় বৃহত্তম সংখ্যাটি ২৪।

উদাহরণ ৮। কোন বৃহত্তম সংখ্যা দ্বারা ৫৭, ৯৩ এবং ১৮৩ কে ভাগ করলে কোনো ভাগশেষ থাকবে না?
সমাধান: নির্ণেয় বৃহত্তম সংখ্যাটি হবে ৫৭, ৯৩ ও ১৮৩ এর গ.সা.গু.।

এখানে, ৫৭ = ৩ × ১৯, ৯৩ = ৩ × ৩১ এবং ১৮৩ = ৩ × ৬১
৫৭, ৯৩ ও ১৮৩ এর গ.সা.গু. ৩।

নির্ণেয় বৃহত্তম সংখ্যাটি ৩।

উদাহরণ ৯। কোন ক্ষুদ্রতম সংখ্যার সাথে ৫ যোগ করলে যোগফল ১৬, ২৪ ও ৩২ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য হবে?

সমাধান: নির্ণেয় ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি হবে ১৬, ২৪ ও ৩২ এর ল.সা.গু. থেকে ৫ কম।

১৬, ২৪ ও ৩২ এর ল.সা.গু. = ২ ×××××২ = ৯৬

নির্ণেয় ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি (৯৬ – ৫) বা ৯১।

উদাহরন। ১০

(ক) ১৫৯ এর গুণনীয়ক গুলো নির্নয় করে মৌলিক গুণনীয়কগুলো আলাদা কর।
(খ) যদি ৯ টি আম, ৭ টি জাম, ১ টি লিচু পচে যায় তবে অবশিষ্ট ফলের সংখ্যার ল.সা.গু ইউক্লিডীয় পদ্ধতিতে নির্ণয় কর।
(গ) সর্বাধিক কত জন বালকের মধ্যে ফলগুলো সমান ভাবে ভাগ করে দিলে ৩টি আম, ৬ টি জাম ও ১১ টি লিচু অবশিষ্ট থাকবে?

সমাধান
(ক) ১৫৯ = ১ × ১৫৯ = ৩ × ৫৩

১৫৯ এর গুণনীয়কগুলো হলো ১, ৩, ৫৩ ও ১৫৯
এদের মধ্যে মৌলিক গুণনীয়ক ৩ এবং ৫৩।

(খ)
১ম ঝুড়িতে ভালো আমের সংখ্যা = ১৫৯-৯ = ১৫০
২য় ঝুড়িতে ভালো জামের সংখ্যা = ২২৭-৭ = ২২০
৩য় ঝুড়িতে ভালো লিচুর সংখ্যা = ৪০১-১ = ৪০০

এখন

১৫০, ২২০ ও ৪০০ এর ল.সা.গু = ২ ××5 ×5 ×3 ×4৪ × ১১ = ১৩২০০।

(গ) এখানে,
১৫৯-৩ = ১৫৬
২২৭-৬ = ২২১
৪০১-১১ = ৩৯০
নির্ণেয় বালকের সংখ্যা হবে ১৫৬, ২২১ ও ৩৯০ এর গ.সা.গু।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দাও

৩০ ও ৪৫ দুটি সংখ্যা।

অনুশীলনী (১.৩)

929

১। মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে গ.সা.গু. নির্ণয় কর:
(ক) ১৪৪, ২৪০, ৬১২
(খ) ৫২৫, ৪৯৫, ৫৭০
(গ) ২৬৬৬, ৯৬৯৯

২। ভাগ প্রক্রিয়ায় গ.সা.গু. নির্ণয় কর:
(ক) ১০৫, ১৬৫
(খ) ৩৮৫, ২৮৬, ৪১৮

৩। মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে ল.সা.গু. নির্ণয় কর:
(ক) ১৫, ২৫, ৩০
(খ) ২২, ৮৮, ১৩২, ১৯৮
(গ) ২৪, ৩৬, ৫৪, ৭২, ৯৬

৪। ইউক্লিডীয় পদ্ধতিতে ল.সা.গু. নির্ণয় কর:
(ক) ৯৬, ১২০
(খ) ৩৫, ৪৯, ৯১
(গ) ৩৩, ৫৫, ৬০, ৮০, ৯০

৫। কোন বৃহত্তম সংখ্যা দ্বারা ১০০ ও ১৮৪ কে ভাগ করলে প্রত্যেকবার ভাগশেষ ৪ থাকবে?
৬। কোন বৃহত্তম সংখ্যা দ্বারা ২৭, ৪০ ও ৬৫ কে ভাগ করলে যথাক্রমে ৩, ৪,৫ ভাগশেষ থাকবে?
৭। কোন ক্ষুদ্রতম সংখ্যাকে ৮, ১২, ১৮ এবং ২৪ দ্বারা ভাগ করলে প্রত্যেকবার ভাগশেষ ৫ হবে?
৮। কোন ক্ষুদ্রতম সংখ্যাকে ২০, ২৫, ৩০, ৩৬ এবং ৪৮ দিয়ে ভাগ করলে যথাক্রমে ১৫, ২০, ২৫, ৩১ ও ৪৩ ভাগশেষ থাকবে?
৯। একটি লোহার পাত ও একটি তামার পাতের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৬৭২ সে.মি. ও ৯৬০ সে.মি.। পাত দুইটি থেকে কেটে নেওয়া একই মাপের সবচেয়ে বড় টুকরার দৈর্ঘ্য কত হবে? প্রত্যেক পাতের টুকরার সংখ্যা নির্ণয় কর।
১০। চার অঙ্কের কোন ক্ষুদ্রতম সংখ্যা ১২, ১৫, ২০ ও ৩৫ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য?

১১। পাঁচ অঙ্কের কোন বৃহত্তম সংখ্যাকে ১৬, ২৪, ৩০ ও ৩৬ দিয়ে ভাগ করলে প্রত্যেকবার ভাগশেষ ১০ হবে?
১২। কোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে ৪টি বাস একটি নির্দিষ্ট সময় পর যথাক্রমে ১০ কি.মি., ২০ কি.মি., ২৪ কি.মি. ও ৩২ কি.মি. পথ অতিক্রম করে। কমপক্ষে কত দূর পথ অতিক্রম করার পর বাস চারটি একত্রে মিলিত হবে?
১৩। দুইটি সংখ্যার গুণফল ৩৩৮০ এবং গ.সা.গু. ১৩। সংখ্যা দুইটির ল.সা.গু. নির্ণয় কর।

Content added By

সাধারণ ভগ্নাংশ (১.১১)

832

পূর্বের শ্রেণিতে আমরা ভগ্নাংশ সম্বন্ধে জেনেছি। এখানে আমরা সাধারণ ভগ্নাংশ নিয়ে আলোচনা করব। সাধারণ ভগ্নাংশ তিন প্রকার, যথা প্রকৃত ভগ্নাংশ, অপ্রকৃত ভগ্নাংশ ও মিশ্র ভগ্নাংশ ও মিশ্র ভগ্নাংশ

প্রকৃত ভগ্নাংশ:   একটি সাধারণ ভগ্নাংশ। এই ভগ্নাংশে লব ৩ ও হর ৫। এখানে লব, হর থেকে ছোট। এটি একটি প্রকৃত ভগ্নাংশ।

অপ্রকৃত ভগ্নাংশ:   সাধারণ ভগ্নাংশে লব, হর থেকে বড়। এটি একটি অপ্রকৃত ভগ্নাংশ।

মিশ্র ভগ্নাংশ: সংখ্যাটিতে একটি পূর্ণ অংশ এবং অপর অংশটি প্রকৃত ভগ্নাংশে আছে। একটি মিশ্র ভগ্নাংশ।

সমতুল ভগ্নাংশ: দুইটি ভগ্নাংশ।

এখানে, প্রথম ভগ্নাংশের লব × দ্বিতীয় ভগ্নাংশের হর = ৫ × ২১ = ১০৫

প্রথম ভগ্নাংশের হর × দ্বিতীয় ভগ্নাংশের লব = ৭ × ১৫ = ১০৫

ভগ্নাংশ দুইটি সমতুল।

কোনো ভগ্নাংশের লব ও হরকে শূন্য ছাড়া একই সংখ্যা দিয়ে গুণ বা ভাগ করলে প্রদত্ত ভগ্নাংশের সমতুল ভগ্নাংশ পাওয়া যায়।

উদাহরণ ১ ।

কে সাধারণ ভগ্নাংশে প্রকাশ কর।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

, ,  তিনটি ভগ্নাংশ

প্রকৃত ভগ্নাংশ
অপ্রকৃত ভগ্নাংশ
মিশ্র ভগ্নাংশ
লব ভগ্নাংশ

ভগ্নাংশের তুলনা (১.১২)

725

  দুইটি সাধারণ ভগ্নাংশ।

এখানে, প্রথম ভগ্নাংশের লব ও দ্বিতীয় ভগ্নাংশের হর এর গুণফল =  × = 

দ্বিতীয় ভগ্নাংশের লব ও প্রথম ভগ্নাংশের হর এর গুণফল =× = 

যেহেতু  <  , কাজেই <  বা > 

আবার, ভগ্নাংশ দুইটির হর ৭ ও ৪ এর ল.সা.গু. = × =

প্রথম ভগ্নাংশ =××=
{ যেহুত ÷ = }

এবং দ্বিতীয় ভগ্নাংশ =××= [যেহেতু ÷ =  ]

  ভগ্নাংশ দুইটির হর একই অর্থাৎ সমহর বিশিষ্ট। কিন্তু প্রথম ভগ্নাংশের লব ২০ দ্বিতীয় ভগ্নাংশের লব ২১ অপেক্ষা ছোট।

 < বা < বা >

দুইটি ভগ্নাংশের হর একই হলে যে ভগ্নাংশের লব বড় সেই ভগ্নাংশটি বড়।

পুনরায়,   ভগ্নাংশ দুইটির লব ৫ ও ৩ এর ল.সা.গু. =  ×  = 

প্রথম ভগ্নাংশ =××= [ যেহেতু ÷= ]

দ্বিতীয় ভগ্নাংশ =××= [ যেহেতু ÷=]

   ভগ্নাংশ দুইটির লব একই অর্থাৎ সমলব বিশিষ্ট।

এখানে < কেননা ১৫ × ২০ < ১৫ × ২১

দুইটি ভগ্নাংশের লব একই হলে যে ভগ্নাংশের হর বড় সেই ভগ্নাংশটি ছোট।

উদাহরণ ২। ,, ভগ্নাংশগুলোকে মানের ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে সাজাও।

প্রথম ভগ্নাংশ = = ××= [ যেহেতু  ÷  =  ]

দ্বিতীয় ভগ্নাংশ == ××= [ যেহেতু ÷=  ]

এবং তৃতীয় ভগ্নাংশ = =××= [ যেহেতু÷ = 1

সমহরবিশিষ্ট ভগ্নাংশ ,, এর লবগুলোর মধ্যে তুলনা করে পাই,

>> অর্থাৎ <<

মানের ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে সাজিয়ে পাই, <<

কাজ:

=,,,  ভগ্নাংশগুলোকে মানের অধঃক্রম অনুসারে সাজিয়ে লেখ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

,, তিনটি ভগ্নাংশ।

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

একটি ভগ্নাংশ।

মিশ্র ভগ্নাংশ
প্রকত ভগ্নাংশ
অপ্রকৃত ভগ্নাংশ
দশমিক ভগ্নাংশ

ভগ্নাংশের যোগ ও বিয়োগ (১.১৩)

2.2k

, ভগ্নাংশ দুইটি যোগ করে পাই,
+=+=

সমহরবিশিষ্ট কয়েকটি ভগ্নাংশের যোগফল একটি ভগ্নাংশ যার হর প্রদত্ত ভগ্নাংশের হর এবং যার লব প্রদত্ত ভগ্নাংশের লবগুলোর যোগফল।

আবার, থেকে বিয়োগ করে পাই,

-=-=

সমহরবিশিষ্ট ভগ্নাংশের বিয়োগফল একটি ভগ্নাংশ যার হর প্রদত্ত ভগ্নাংশের হর এবং যার লব প্রদত্ত ভগ্নাংশের লবগুলোর বিয়োগফল।

উদাহরণ ৩। ++ = কত?

সমাধান: ভগ্নাংশগুলোর হর ৮, ১৬ ও ২৪ এর ল.সা.গু. ৪৮

এখন, =××=

=××=

এবং =××=

++=++=

নির্ণেয় যোগফল

সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে ভগ্নাংশের যোগফল :

ভগ্নাংশগুলোর হর ৮, ১৬, ২৪ এর ল.সা.গু. ৪৮

++=++=

নির্ণেয় যোগফল

উদাহরণ 8। += কতো ?

সমাধান: += +++= (+)++

= + ×+×  =+ +  =+   =  

নির্ণেয় যোগফল  

বিকল্প পদ্ধতিতে ভগ্নাংশের যোগফল: +=×++×+[ অপ্রকৃত ভগ্নাংশে রূপান্তর করে।

= +=×+×=+

= =

নির্ণেয় যোগফল

উদাহরণ ৫। সরল কর: +-

সমাধান : +-= +-

=--=-==

নির্ণেয় মান:

কাজ:

১. সরল কর: +-

এবং এর যোগফলের সঙ্গে কত যোগ করলে সংখ্যাটি ১০০ হবে?

উদাহরণ ৬। যোগ কর: ২০ মিটার সে. মিটার ৭ মিটার সে. মিটার

সমাধান : ২০ মিটার সে. মি. + ৭ মিটার সে. মি.

= ২০ মিটার + ৭ মিটার +সে. মি. +সে. মি. + সে. মি.

= (২০+৭) মি. + + সে. মি.

= ২৭ মি. + +  সে. মি. = ২৭ মি. +   সে. মি.

= ২৭ মি.   সে. মি.

নির্ণেয় যোগফল ২৭ মি.   সে. মি.

উদাহরণ ৭। কোনো ব্যক্তি কিলোমিটার পথ হেঁটে কিলোমিটার পথ রিক্সায় এবং কিলোমিটার পথ বাসে গেলেন। তিনি মোট কত পথ অতিক্রম করলেন?

সমাধান: ঐ ব্যক্তি মোট পথ অতিক্রম করলেন

কিলোমিটার + কিলোমিটার + কিলোমিটার

= ++ কিলোমিটার = ++ কিলোমিটার

=  কিলোমিটার = কিলোমিটার।

নির্ণেয় অতিক্রান্ত পথ = কিলোমিটার।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

উদ্দীপকের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দাও

ইনশাহ স্কুলে যায় কি.মি. পথ রিক্সায় এবং কি.মি. পথ হেঁটে।

অনুশীলনী (১.৪)

821

১। নিচের ভগ্নাংশ যুগল সমতুল কিনা নির্ধারণ কর:

(ক)  ,

(খ) ,

(গ) ,

২। নিচের ভগ্নাংশগুলোকে সমহর বিশিষ্ট ভগ্নাংশে প্রকাশ কর:

(ক) ,,

(খ) ,,

৩। নিচের ভগ্নাংশগুলোকে মানের ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে সাজাও:

(ক) ,,,

(খ) ,,,

৪। নিচের ভগ্নাংশগুলোকে মানের অধঃক্রম অনুসারে সাজাও:

(ক) ,,,

(খ) ,,,

৫। যোগ কর:

(ক) +

(খ) +

(গ) +

(ঘ) ৭০ মিটার সেন্টিমিটার +৮০ মিটার সেন্টিমিটার+ ৪০ মিটার সেন্টিমিটার

৬। বিয়োগ কর:

(ক) -

(খ) -

(গ) -

(ঘ) ২৫ কেজি গ্রাম - ১৭ কেজি গ্রাম

৭। সরল কর ঃ

(ক) -+-

(খ) --+

(গ) --+

৮। আজমাইন সাহেব তাঁর জমি থেকে বছরে কুইন্টাল আমন, কুইন্টাল ইরি এবং কুইন্টাল আউশ ধান পেলেন। তিনি তাঁর জমি থেকে এক বছরে কত কুইন্টাল ধান পেয়েছেন?

৯। ২৫ মিটার লম্বা একটি বাঁশের মিটার কালো মিটার লাল এবং মিটার হলুদ রং করা হলো। বাঁশটির কত অংশ রং করা বাকি রইল?

১০। আমিনা তার মা ও ভাইয়ের নিকট থেকে যথাক্রমে গ্রাম ও গ্রাম স্বর্ণ পেল। তার বাবার নিকট থেকে কত পেলে একত্রে ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ হবে?

১১। জাবিদ অতিক্রান্ত মোট পথের অংশ রিক্সায়, অংশ সাইকেলে অংশ হেঁটে এবং অবশিষ্ট ২ কিলোমিটার পথ ঘোড়ার গাড়িতে গেল। রিক্সায় এবং সাইকেলে প্রতি কিলোমিটার পথ যেতে গড়ে ৫ মিনিট সময় লাগে।

(ক) ,,  কে মানের ঊর্ধ্বক্রমে সাজাও।

(খ) অতিক্রান্ত মোট পথের দূরত্ব নির্নয় কর।

(গ) জাবিদ রিক্সায় এবং সাইকেলে মোট কত সময় ব্যয় করে?

Content added By

ভগ্নাংশের গুণ (১.১৪)

383

ভগ্নাংশকে পূর্ণ সংখ্যা দিয়ে গুণ:

৭ কে ৩ দিয়ে গুণ অর্থ ৭ ৭ কে ৩ বার যোগ করা। তেমনি × এর অর্থ    কে ৩ বার নিয়ে যোগ করা।

অর্থাৎ × = ++=++ =

লক্ষ করি : × = × =

ভগ্নাংশ × পূর্ণ সংখ্যা = ভগ্নাংশের লব পূর্ণ সংখ্যা / ভগ্নাংশের হর

ভগ্নাংশকে ভগ্নাংশ দিয়ে গুণ :

চিত্র থেকে লক্ষ করি :

  • বর্গক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল = ১মি ১মি = ১ বর্গমিটার।
  • বর্গক্ষেত্রের দৈর্ঘ্যকে ৭ ভাগে এবং প্রস্থকে ৪ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ফলে বর্গক্ষেত্রটি ২৮টি আয়তক্ষেত্রে বিভক্ত হয়েছে এবং প্রত্যেকটি আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল বর্গমিটার।
  • গাঢ় অংশের দৈর্ঘ্য মিটার এবং প্রস্থ মিটার, যার ক্ষেত্রফল × বর্গমিটার।
  • আবার গাঢ় অংশে ১৫টি আয়তক্ষেত্র থাকায় গাঢ় অংশের ক্ষেত্রফল × বর্গমিটার

=   বর্গমিটার।

×= অর্থাৎ ××=

দুইটি ভগ্নাংশের গুণফল = ভগ্নাংশদ্বয়ের লবের গুণফল / ভগ্নাংশদ্বয়ের হরের গুণফল

উদাহরণ ১। × = কতো ?

সমাধান : × = × [অপ্রকৃত ভগ্নাংশে রূপান্তর করে]

=××==

'এর' এর অর্থ :

× এর অর্থ ১২ এর ৫ ভাগের ৩ অংশ বা (১২ এর )

অর্থাৎ ১২ এর = ১২ ×

উদাহরণ ২। এর = কত?

সমাধান: এর = ×=

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

একটি বাগানের দৈর্ঘ্য মিটার এবং এবং প্রস্থ মিটার।

ভগ্নাংশের ভাগ (১.১৫)

464

উপরের চিত্রে, ক্ষেত্রটিকে ২০টি সমান ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে যার মধ্যে ১২টি ক্ষেত্র গাঢ়।

গাঢ় ক্ষেত্রের অংশ = = অংশ।

প্রত্যেক সারিতে গাঢ় ক্ষেত্রের অংশ = ক্ষেত্রটির অংশ

প্রত্যেক সারিতে গাঢ় ক্ষেত্রের অংশ মোট গাঢ় অংশের অংশ

প্রত্যেক সারিতে গাঢ় অংশ = মোট গাঢ় অংশের অংশ

= ক্ষেত্রটির অংশের অংশ

= ক্ষেত্রটির   অংশ

লক্ষ করি: কে ৪ ভাগ করা এবং কে দ্বারা গুণ করা একই অর্থ।

÷ =× ; এখানে ৪ এর বিপরীত ভগ্নাংশ

কোনো ভগ্নাংশকে অপর একটি ভগ্নাংশ দিয়ে ভাগ করতে হলে প্রথম ভগ্নাংশকে দ্বিতীয়টির বিপরীত ভগ্নাংশ দিয়ে গুণ করতে হয়।

উদাহরণ ৩। ÷=কতো ?

সমাধান: ÷=÷=×==

কাজ: এবং ভগ্নাংশ দুইটির মধ্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এবং 'এর' চিহ্ন ব্যবহার করে মান নির্ণয় কর।

উদাহরণ ৪ : কোনো ব্যক্তি তাঁর সম্পত্তির অংশ স্ত্রীকে, অংশ পুত্রকে ও অংশ মেয়েকে দান করলেন। তাঁর অবশিষ্ট সম্পত্তির মূল্য ৬০,০০০ টাকা। মোট সম্পত্তির মূল্য নির্ণয় কর।

সমাধান: ঐ ব্যক্তি স্ত্রী, পুত্র ও মেয়েকে মোট দান করেন সম্পত্তির ++ অংশ

=++ অংশ = অংশ

সম্পূর্ণ সম্পত্তি ১ ধরে অবশিষ্ট থাকে - অংশ বা - অংশ বা অংশ প্রশ্নানুসারে, সম্পত্তির অংশের মূল্য ৬০,০০০ টাকা

সম্পূর্ণ অংশের মূল্য , ÷ টাকা বা  × টাকা বা ৪,৮০,০০০ টাকা।

মোট সম্পত্তির মূল্য ৪,৮০,০০০ টাকা।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

দুইটি ভগ্নাংশের গুণফল এবং একটি ভগ্নাংশ

ভগ্নাংশের গুণনীয়ক ও গুণিতক (১.১৬)

1.5k

নিচের দুইটি ভগ্নাংশ বিবেচনা করি যাদের ভাগফল একটি পূর্ণসংখ্যা।

÷=×=

আমরা বলি, ভগ্নাংশটি দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য। এক্ষেত্রে প্রথম ভগ্নাংশটিকে দ্বিতীয় ভগ্নাংশের গুণিতক এবং দ্বিতীয় ভগ্নাংশটিকে প্রথম ভগ্নাংশের গুণনীয়ক বলে। একটি ভগ্নাংশের অসংখ্য গুণনীয়ক রয়েছে ।

,, ভগ্নাংশগুলোর হর ৫, ১৫, ৩ এর ল.সা.গু ১৫। ল.সা.গু ১৫ এর বিপরীত ভগ্নাংশ দিয়ে ,  কে পৃথকভাবে ভাগ করি ।

÷=×= , ÷=×= এবং ÷=×=

দেখা যায়, ভগ্নাংশটি দ্বারা ,, ভগ্নাংশগুলো বিভাজ্য।

আবার, ,,ভগ্নাংশগুলোর লব ৪, ৮, ২ এর গ.সা.গু. ২ এবং হর ৫, ১৫, ৩ এর ল.সা.গু. ১৫।

এখন, ভগ্নাংশটি দিয়ে ,  কে পৃথকভাবে ভাগ করে পাই,

÷ = ×= , ÷=×= এবং ÷=×=

ভগ্নাংশ দ্বারা প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলো বিভাজ্য। ফলে ভগ্নাংশটিও ,  এর গুণনীয়ক।

লক্ষ করি:

(১) প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর লবের সাধারণ গুণনীয়ক হচ্ছে গুণনীয়ক ভগ্নাংশের লব
(২) প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর হরের সাধারণ গুণিতক হচ্ছে গুণনীয়ক ভগ্নাংশের হর
প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর একটি সাধারণ গুণনীয়ক = প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর লবের একটি সাধারণ গুণনীয়ক / প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর হরের একটি সাধারণ গুণিতক

মন্তব্য: প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর একাধিক সাধারণ গুণনীয়ক থাকতে পারে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

, দুইটি ভগ্নাংশ।

ভগ্নাংশের গ.সা.গু. (১.১৭)

450

উপরের সাধারণ গুণনীয়কের আলোচনায় আমরা পাই ,, ভগ্নাংশগুলোর দুইটি সাধারণ গুণনীয়ক

এবং

এখানে > অর্থাৎ,, ভগ্নাংশগুলোর সাধারণ গুণনীয়কগুলোর মধ্যে ভগ্নাংশটি সবচেয়ে বড়।

,, ভগ্নাংশগুলোর গরিষ্ঠ সাধারণ ভগ্নাংশ

প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর গ.সা.গু. = ভগ্নাংশগুলোর লবের গ.সা.গু./ ভগ্নাংশগুলোর হরের ল.সা.গু.

কাজ:

  এবং এর সকল সাধারণ গুণনীয়ক নির্ণয় কর।

 ,, ভগ্নাংশগুলোর গ.সা.গু. নির্ণয় কর।

উদাহরণ ৫। । কোন বৃহত্তম সংখ্যা দিয়ে  , এবং কে ভাগ করলে, প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভাগফল পূর্ণসংখ্যা হবে?

সমাধান: নির্ণেয় সংখ্যাটি হবে  , এবং এর গ.সা.গু.।

এখানে, =

,, ভগ্নাংশগুলোর লব ৫, ৭, ৮৭ এর গ.সা.গু. = ১

এবং হর ৩২, ৮০, ১৬ এর ল.সা.গু. = ১৬০

ভগ্নাংশগুলোর গ.সা.গু. = লবগুলোর গ.সা.গু. / হরগুলোর ল.সা.গু.

নির্ণেয় বৃহত্তম সংখ্যাটি

ভগ্নাংশের সাধারণ গুণিতক:

,, ভগ্নাংশগুলোর হর ৪, ১৬, ২০ এর গ.সা.গু. = ৪ এবং লব ১, ৩, ৯ এর ল.সা.গু. = ৯ এবার, ভগ্নাংশগুলোর হরের গ.সা.গু.কে হর এবং লবের ল.সা.গু.কে লব ধরে ভগ্নাংশটি বিবেচনা করি।

ভগ্নাংশটিকে যথাক্রমে ,, দিয়ে ভাগ করি।

÷=×= ; ÷=×= এবং ÷=×=

হচ্ছে ,, এর একটি সাধারণ গুণিতক।

প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর সাধারণ গুণিতক = ভগ্নাংশগুলোর লবের একটি সাধারণ গুণিতক / ভগ্নাংশগুলোর হরের একটি সাধারণ গুণনীয়ক

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্য থেকে প্রশ্নের উত্তর দাও

, এবং

ভগ্নাংশের ল.সা.গু. (১.১৮)

369

উপরের ভগ্নাংশের সাধারণ গুণিতকে ব্যবহৃত ,, ভগ্নাংশগুলোর সাধারণ গুণিতক আবার এর গুণিতকগুলো ,, ইত্যাদি।

কিন্তু <<< ইত্যাদি।

অর্থাৎ ,, ভগ্নাংশগুলোর গুণিতকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট।

প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোর ল.সা.গু. = ভগ্নাংশগুলোর লবগুলোর ল.সা.গু. / ভগ্নাংশগুলোর হরগুলোর গ.সা.গু.

কাজ:

১। ,, ভগ্নাংশগুলোর ৫টি সাধারণ গুণিতক বের কর।

২। ,, ভগ্নাংশগুলোর ল.সা.গু. নির্ণয় কর ।

উদাহরণ ৬। কোন ক্ষুদ্রতম সংখ্যা , দ্বারা বিভাজ্য?

সমাধান: প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলো , ,  অর্থাৎ ,,

নির্ণেয় ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি হবে ,  এবং এর ল.সা.গু.।

ভগ্নাংশগুলোর লব ৩৬, ৭২, ১৪৪ এর ল.সা.গু. ১৪৪

ভগ্নাংশগুলোর হর ৫, ২৫, ২৫ এর গ.সা.গু. = ৫

,, এর ল.সা.গু.= লবগুলোর ল.সা.গু. / হরগুলোর গ.সা.গু. =  = 

নির্ণেয় ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি = 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দাও

এবং দুটি ভগ্নাংশ

তথ্যের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দাও

,,

তথ্যের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দাও

, , ,

ভগ্নাংশের সরলীকরণ (১.১৯)

696

সরলীকরণে যে কাজগুলো ক্রম অনুসারে করা হয় তা হচ্ছে: বন্ধনী (Brackets), এর (Of), ভাগ (Division), গুণ (Multiplication), যোেগ (Addition) এবং বিয়োগ (Subtraction)। আবার বন্ধনীগুলোর মধ্যে ক্রম অনুসারে প্রথম বন্ধনী (), দ্বিতীয় বন্ধনী {} এবং তৃতীয় বন্ধনী [] এর কাজ করতে হয়। বন্ধনীর আগে কোনো চিহ্ন না থাকলে সেখানে 'এর' আছে ধরে নিতে হবে। সরলীকরণের কাজগুলো মনে রাখার জন্য এদের ইংরেজি নামের প্রথম অক্ষরগুলো দ্বারা গঠিত BODMAS শব্দটি স্মরণে রাখা সহায়ক হয়।

উদাহরণ ৭। সরল কর ঃ - এর ÷-+

সমাধান: - এর ÷-+ = - এর ÷-+

=-÷-+=-×-+=--+

=--+  

=-  

==

উদাহরণ ৮। সরল কর: ----

সমাধান : ----

==---+=---= ---=--  =-- = -- = -  =- = - =  = =

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অনুশীলনী (১.৫)

183

১। গুণ কর :  ×   ××  ××

২। ভাগ কর:  ÷  ÷  ÷

৩। সরল কর: ()   ÷  ×    ÷  ×

৪। গ.সা.গু. নির্ণয় কর: () ,      ,  ,    () ,,

৫। ল.সা.গু. নির্ণয় কর:  ,     , ,      ,,

৬। জামাল সাহেব তাঁর বাবার সম্পত্তির অংশের মালিক। তিনি তাঁর সম্পত্তির অংশ তিন সন্তানকে সমানভাবে ভাগ করে দিলেন। প্রত্যেক সন্তানের সম্পত্তির অংশ বের কর।

৭। দুইটি ভগ্নাংশের গুণফল একটি ভগ্নাংশ হলে, অপর ভগ্নাংশটি নির্ণয় কর।

৮। একটি পানিভর্তি বালতির ওজন কেজি। বালতির অংশ পানি ভর্তি থাকলে তার ওজন কেজি হয়। খালি বালতির ওজন নির্ণয় কর।

৯। দেখাও যে এর গুণফল এদের গ.সা.গু ও ল.সা.গু এর গুণফলের সমান।

সরল কর (১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত):

১০।   ÷  -×

১১। ÷×÷÷ 

১২ ।  ×÷ +-

১৩। ××+÷-+÷×

১৪। -÷--+

১৫ । +-+-- +

Content added By

দশমিক ভগ্নাংশের যোগ (১.২০)

361

১০-৫,২-০৮৩১৬-৭৪৫ তিনটি দশমিক ভগ্নাংশের মধ্যে ১৬-৭৪৫ দশমিক ভগ্নাংশে সহস্রাংশের স্থানে ৫ আছে।
১০-৫ সংখ্যাটিতে সহস্রাংশ ও শতাংশের স্থানে কোনো অঙ্ক নেই। ঐ দুইটি স্থানে শূন্য ধরে পাই, ১০-৫০০।
২০০৮ সংখ্যাটিতে সহস্রাংশের স্থানে কোনো অঙ্ক নেই। ঐ স্থানে একটি শূন্য ধরে পাই, ২-০৮০।

এবার প্রাপ্ত সংখ্যা নিচে নিচে সাজিয়ে যোগ করি :

১০.৫০০
২.০৮০
১৬.৭৪৫
২৯.৩২৫

দশমিক ভগ্নাংশের যোগের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সংখ্যাগুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যেন দশমিক বিন্দুগুলো অবস্থান বরাবর নিচে নিচে পড়ে।

উদাহরণ ১। যোগ কর: ৩৩.০১ + ৩.৭ + ১৪.৮৫

সমাধান :

. .0 ..

বিকল্প পদ্ধতি: ৩৩.০১ + ৩.৭ + ১৪.৮৫

= ++= +  +   = =. 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দশমিক ভগ্নাংশের বিয়োগ (১.২১)

224

দশমিক ভগ্নাংশের যোগের মতো প্রদত্ত সংখ্যাগুলোর দশমিক বিন্দুগুলো অবস্থান বরাবর নিচে নিচে সাজিয়ে বিয়োগ করতে হয়।

উদাহরণ ২ । ২৩.৬৫৭ থেকে ১.৭১ বিয়োগ কর।

সমাধান: প্রদত্ত সংখ্যাগুলোর দশমিক বিন্দুগুলো অবস্থান বরাবর নিচে নিচে সাজিয়ে পাই,
.. .

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও

একটি বাঁশের ০.২ অংশ পানির উপরে ০.৬৫ অংশ পানিতে এবং অবশিষ্ট অংশ কাদায়। পানির উপরের অংশের দৈর্ঘ্য ৪ মিটার।

তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

দোলার নিকট ১০০ টাকা ছিল। সে তার ছোট ভাইকে ৩৫.৫০ টাকা এবং ছোট বোনকে ৩০.২৫ টাকা দিল।

৬৫.৫০ টাকা
৭০.২৫ টাকা
৩৫.২৫ টাকা
৩৪.২৫ টাকা

দশমিক ভগ্নাংশের গুণ (১.২২)

221

উদাহরণ ৩। ০.০৬৫৭ কে .৭৫ দিয়ে গুণ কর।

সমাধান:        

. × . = .

লক্ষ করি:

  • প্রদত্ত সংখ্যাদ্বয় থেকে দশমিক বিন্দু বর্জন করে সাধারণ গুণের মতো গুণ করা হয়েছে। গুণ্য থেকে দশমিক বিন্দু বর্জন করার পর সর্ববামের শূন্য বাদ দেওয়া হয়েছে।
  • গুণ্যে দশমিক বিন্দুর পর ৪টি অঙ্ক ও গুণকে দশমিক বিন্দুর পর ২টি অঙ্ক আছে। অর্থাৎ গুণ্য ও গুণক মিলে মোট (৪+২) টি বা ৬টি অঙ্ক আছে। গুণফলের ডানদিক থেকে ৬ অঙ্কের বামে দশমিক বিন্দু বসিয়ে গুণফল পাওয়া গেছে।
  • গুণফলের ডানদিক থেকে ৬ অঙ্কের বামে দশমিক বিন্দু বসানোর জন্য একটি শূন্যের প্রয়োজন হয়েছে।

বিকল্প পদ্ধতি: .০৬৫৭ × .৭৫
=  ,× (দশমিক ভগ্নাংশকে সাধারণ ভগ্নাংশে রূপান্তর করে )

=  ,×= 

= .০৪৯২৭৫ (দশমিক ভগ্নাংশে রূপান্তর করে)

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দাও

রহিম ৫০.৫০ টাকা কেজি দরে ৪৫ কুইন্টাল চাল বিক্রয় করলেন।

৪৫,০০০০ কেজি
৪৫০০০ কেজি
৪৫০০ কেজি
৪৫০ কেজি
তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নের উত্তর দাও

৪.৮, ০.০৬ ও ৩.৬ তিনটি দশমিক ভগ্নাংশ।

দশমিক ভগ্নাংশের ভাগ (১.২৩)

687

উদাহরণ ৪। ৮০৮.৯ কে ২৫ দিয়ে ভাগ।

সমাধান :

নির্ণেয় ভাগফল ৩২.৩৫৬

লক্ষ করি:

  • পূর্ণ সংখ্যার মতো ভাগ করা হয়েছে।
  • পূর্ণ সংখ্যার ভাগ শেষ হলেই ভাগফলে দশমিক বিন্দু বসানো হয়েছে, কারণ তখন দশমাংশকে ভাগ করা হয়েছে।
  • প্রত্যেক ভাগশেষের ডানদিকে শূন্য (০) বসিয়ে ভাগের কাজ করা হয়েছে।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দশমিক ভগ্নাংশের গ.সা.গু. ও ল.সা.গু. (১.২৪)

1.1k

২, ১.২ ও .০৮ সংখ্যা তিনটির গ.সা.গু. ও ল.সা.গু. নির্ণয়।
প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলো যথাক্রমে ২.০০, ১.২০ ও .০৮ এর সমান।
২০০, ১২০ ও ৮ এর গ.সা.গু. = ৮ এবং ল.সা.গু. = ৬০০
নির্ণেয় গ.সা.গু. = .০৮ এবং ল.সা.গু. = ৬.০০

লক্ষ করি: প্রদত্ত দশমিক ভগ্নাংশগুলো কোনো কোনোটির ডানদিকে প্রয়োজনমতো শূন্য বসিয়ে দশমিক বিন্দুর পরের অঙ্কের সংখ্যা সমান করতে হবে। এরপর এদেরকে পূর্ণসংখ্যা মনে করে গ.সা.গু. ও ল.সা.গু. নির্ণয় করতে হবে। পরিবর্তিত দশমিক ভগ্নাংশগুলোর প্রত্যেকটিতে দশমিক বিন্দুর পর যতগুলো অঙ্ক আছে প্রাপ্ত গ.সা.গু. ও ল.সা.গু. এর ডানদিক থেকে তত অঙ্কের পরে দশমিক বিন্দু বসাতে হবে। তাহলেই নির্ণেয় গ.সা.গু. ও ল.সা.গু. পাওয়া যাবে।

বিকল্প পদ্ধতি

প্রদত্ত সংখ্যাগুলোকে লঘিষ্ঠ সাধারণ ভগ্নাংশে প্রকাশ করে পাই,

=, .== এবং .==

ভগ্নাংশগুলোর লব ২, ৬ ও ২ এর গ.সা.গু. ২ এবং ল.সা.গু. = ৬
এবং হর ১, ৫ ও ২৫ এর ল.সা.গু. ২৫ এবং গ.সা.গু. = ১
ভগ্নাংশগুলোর গ.সা.গু. =   = .০৮ এবং ল.সা.গু. = =.

উদাহরণ ৫। আজিম সাহেব প্রতি কেজি ৩০.৭৫ টাকা দরে ৫০ কুইন্টাল চাল, প্রতি কেজি ২০.২৫ টাকা দরে ৫ কুইন্টাল পেঁয়াজ ও প্রতি কেজি ১৭.৫০ টাকা দরে ১৭ কুইন্টাল গম বিক্রি করলেন। প্রাপ্ত টাকা থেকে ১,১০,০০০.০০ টাকা তিনি ব্যাংকে জমা দিলেন। তাঁর নিকট কত রইল?

সমাধান :

১ কুইন্টাল= ১০০ কেজি
৫০ কুইন্টাল চালের দাম = (. ×  × ) টাকা = ১,৫৩,৭৫০.০০ টাকা।
৫ কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম = (. ×  x ) টাকা = ১০,১২৫.০০
১৭ কুইন্টাল গমের দাম = (. ×  × ) টাকা = ২৯,৭৫০.০০ টাকা

আজিম সাহেবের প্রাপ্ত মোট = (১,৫৩,৭৫০.০০ + ১০,১২৫.০০ + ২৯,৭৫০.০০) টাকা = ১,৯৩,৬২৫.০০ টাকা

আজিম সাহেবের নিকট রইলো (১,৯৩,৬২৫.০০ – ১,১০,০০০.০০) টাকা = ৮৩,৬২৫.০০ টাকা

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অনুশলনী (১.৬)

605

১। ২৮ থেকে ৪০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা কয়টি?

(ক) ৩টি
(খ) ৪টি
(গ) ৫টি
(ঘ) ৬টি

২। নিচের কোনটি পরস্পর সহমৌলিক?

(ক) ১২, ১৮
(খ) ১৯, ৩৮
(গ) ২২, ২৭
(ঘ) ২৮, ৩৫

৩। ১২, ১৮ এবং ৪৮ এর গ.সা.গু. কত?

(ক) ৩
(খ) ৬
(গ) ৮
(ঘ) ১২

 . × . ×  = . গাণিতিক বাক্যে এ কোন সংখ্যা হবে?

(ক) ০.০৩
(খ) ০.০০৩
(গ) ০.০০০৩
(ঘ) ০.০০০০৩

৫। অঙ্ক পাতনে কয়টি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়?

(ক) ৮টি
(খ) ৯টি
(গ) ১০টি
(ঘ) ১১টি

৬। এক অঙ্কের স্বাভাবিক সংখ্যাগুলোর মধ্যে-
(i) মৌলিক সংখ্যা ৪ টি
(ii) যৌগিক সংখ্যা ৪ টি
(iii) বিজোড় সংখ্যা ৫টি;
নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii, ও iii

৭। ৬৪৩৫ সংখ্যাটি বিভাজ্য-
(i) ৩ দ্বারা
(ii) ৫ দ্বারা
(iii) ৯ দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii, ও iii

নিচের তথ্যের আলোকে (৮ ও ৯) নং প্রশ্নের উত্তর দাও।

চিত্রে দুইটি স্বাভাবিক সংখ্যা দেখানো হলো

৮। চিত্রের বৃহত্তর সংখ্যাটির গুণিতক কোনটি?

(ক) ৪
(খ) ৮
(গ) ১৬
(ঘ) ৩২

৯। চিত্রের সংখ্যা দুইটির গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক কত?

(ক) ৮
(খ) ৪
(গ) ২
(ঘ) ১

নিচের তথ্যের আলোকে ১০ ও ১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।

১০। বর্গটি কয়টি আয়তক্ষেত্রে বিভক্ত হয়েছে

(ক) ১টি
(খ) ৪টি
(গ) ৬টি
(ঘ) ২৪টি

১১। প্রত্যেক আয়তক্ষেত্র বর্গটির কত অংশ?

(ক) অংশ
(খ) অংশ
(গ) অংশ
(ঘ) অংশ

১২। যোগফল নির্ণয় কর:

(ক) ০.৩২৫ + ২.৩৬৮ + ১.২+০.২৯
(খ) ১৩.০০১ + ২৩.০১+০.০০৫ + ৮০.৬

১৩। বিয়োগফল নির্ণয় কর:

(ক) ৯৫.০২-২.৮৯৫
(খ) ৩.১৫- ১.৬৭৫৮
(গ) ৮৯৯ – ২৩.৯৮৭

১৪। গুণ কর:

(ক) . ×
(খ) .×.×.
(গ) .×
(ঘ) .×.×.

১৫। ভাগফল নির্ণয় কর:

() .÷  () . ÷ .  () . ÷ . 

১৬। সরল কর:

[. .-.-(.-.)]÷.

১৭। তমার নিকট ৫০ টাকা ছিল। সে তার ছোট ভাইকে ১৫.৫০ টাকা এবং তার বন্ধুকে ১২.৭৫ টাকা দিল। তার নিকট আর কত রইল?

১৮। পারুল বেগমের ১০০ শতাংশ জমি আছে। তিনি ৪০.৫ শতাংশে ধান, ২০.২ শতাংশে মরিচ, ১০.৭৫ শতাংশে আলু এবং অবশিষ্ট জমিতে বেগুন চাষ করলেন। তিনি কতটুকু জমিতে বেগুন চাষ করলেন?

১৯। ১ ইঞ্চি সমান ২.৫৪ সেন্টিমিটার হলে, ৮.৫ ইঞ্চিতে কত সেন্টিমিটার?

২০। একটি গাড়ি ঘণ্টায় ৪৫.৬ কিলোমিটার যায়। ৩১৯.২ কিলোমিটার যেতে গাড়িটির কত ঘণ্টা লাগবে?

২১। একজন শিক্ষক ৬০.৬০ টাকা ডজন দরে ৭২২.১৫ টাকার কমলা কিনে ১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেন। তাহলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কয়টি করে কমলা পাবে?

২২। একটি বাঁশের ০.১৫ অংশ কাদায় ও ০.৬৫ অংশ পানিতে আছে। যদি পানির উপরে বাঁশটির দৈর্ঘ্য ৪ মিটার হয়, তাহলে সম্পূর্ণ বাঁশটির দৈর্ঘ্য কত?

২৩। আব্দুর রহমান তাঁর সম্পত্তির .১২৫ অংশ স্ত্রীকে দান করলেন। বাকি সম্পত্তির ৫০ অংশ পুত্রকে ও .৫০ অংশ কন্যাকে দেওয়ার পরও তিনি দেখলেন যে তাঁর অবশিষ্ট সম্পত্তির মূল্য ৩,১৫,০০০.০০ টাকা। আব্দুর রহমানের সম্পত্তির মোট মূল্য কত?

২৪। এক কৃষক তাঁর ২৫০ শতাংশ জমির অংশ জমিতে ধান এবং অংশ জমিতে সবজি চাষ করলেন এবং বাকি জমি পতিত রাখলেন।

(ক) পতিত জমির পরিমাণ বের কর।

(খ) সবজির বিক্রয়মূল্যের চেয়ে ধানের বিক্রয়মূল্য ২৪০০ টাকা কম হলে, মোট কত টাকার সবজি বিক্রি করেছিলেন?
(গ) সম্পূর্ণ জমিতে ধান চাষ করলে তিনি কত টাকার ধান বিক্রি করতে পারবেন?

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তথ্যের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দাও

চিত্র: বর্গাকার চিত্রে প্রতিটি আয়তক্ষেত্র সমান

তথ্যের আলোকে প্রশ্নের উত্তর দাও

চিত্রে দুইটি স্বাভাবিক সংখ্যা দেখানো হলো।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...